ঢাকা।। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেসটিকেশনের (এফবিআই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ঘুষ দিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজক সত্ত্ব পেয়েছে রাশিয়া ও কাতার। কিন্তু ব্যাপারটি সত্য নয় বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক কাতার।
২০১৮ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়াতে। ২০২২ বিশ্বকাপ গড়াবে কাতারে। ‘ঘুষ’ দিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে কাতার ও রাশিয়া। সোমবার ফুটবলে দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই নতুন করে তদন্ত করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে কৌঁসুলিরা অভিযোগ তুলে বলেছে, ঘুষ দিয়ে বিশ্বকাপের আয়োজক সত্ত্ব পেয়েছে রাশিয়া ও কাতার। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আয়োজক নির্ধারণে ফিফার নির্বাহী কমিটির কয়েকজন সাবেক সদস্য ঘুষের প্রস্তাব পান। সেই প্রস্তাব তারা গ্রহণও করেন।এদিকে ল্যাটিন আমেরিকা ফুটবলের (কনমেবল) সাবেক সভাপতি নিকোলাস লিওজ এবং ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সাবেক সভাপতি রিকার্ডো টিসেইরার বিপক্ষে অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। অভিযোগে বলা হয়েছে, টাকার বিনিময়ে কাতারের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এ দুজন। অভিযোগে নাম এসেছে ফিফার সাবেক সহ-সভাপতি জ্যাক ওয়ার্নারেরও। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক সত্ত্ব রাশিয়াকে পাইয়ে দিতে ওয়ার্নারকে ৪ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে সত্ত্ব পায় রাশিয়া।
তবে আগামী বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বলে ঐ প্রতিবেদনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কাতার। এক বিবৃতিতে কাতার বলে, ‘বছরের পর বছর মিথ্যা দাবি তোলা হলেও কাতার অনৈতিকভাবে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে বা ফিফার কঠোর বিডিংয়ের নিয়ম ভঙ্গ করেছে, এমন কোনো প্রমাণ কখনও পাওয়া যায়নি। এমনকি কোথাও নেই।’
এদিকে ঘুষের অভিযোগে মুখ খুলেছে কাতারের সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লেগাসি (এসসি)। তারা জানায়, ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এসব কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণে সকল নিয়ম কঠোরভাবে মানা হয়েছে।’